মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার



মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার নেটওয়ার্ক স্মার্টফোন কেনার আগে দেখে নিন সেটা অন্তত থ্রিজি নেটওয়ার্ক সমর্থন করে কি না। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং ভিডিও কলের জন্য থ্রিজি থাকা জরুরি। আকার এক হাতে কোনো স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হলে তার আকার যতটা সম্ভব ছোট হওয়া ভালো। অন্যদিকে বড় পর্দার স্মার্টফোনের আকার এমনিতেই কিছুটা বড় হয়ে থাকে। পর্দা রেজ্যুলেশন, পর্দার আকার, নিরাপত্তা এবং পর্দার ধরন—এ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

 বর্তমানে বড় পর্দার স্মার্টফোনের প্রতি তরুণদের একটা ঝোঁক দেখা যায়। ভালো মানের ভিডিও দেখতে হলে কমপক্ষে এইচডি (প্রস্থে ৭২০ পিক্সেল) হতে হবে। 

অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টফোনের মধ্যে পার্থক্য

অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টফোনের মধ্যে পার্থক্য তৈরিতে এই একটি উপাদানই যথেষ্ট। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে অনেক স্মার্টফোন থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে। বিভিন্ন দামের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। আর অ্যাপও পাওয়া যায় অনেক বেশি।

 আইফোনে সাধারণত সব ভালো প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ সবার আগে পাওয়া যায়। প্রসেসর স্মার্টফোনে আপনি কী ধরনের কাজ করেন, তার ওপর ঠিক করে প্রসেসরের কথা ভাবতে হবে। খুব ভালো গেম বা অ্যাপ চালাতে দরকার ভালো প্রসেসর। 

একসঙ্গে অনেক কাজ বা মাল্টি-টাস্কিংয়ের জন্যও ভালো মানের প্রসেসর গুরুত্বপূর্ণ। মেমোরি অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড যোগ করার সুযোগ থাকলে তা কতটুকু, তা জেনে নিন। আর যদি সে সুযোগ না থাকে, তবে ইন্টারনাল মেমোরি যেন বেশি হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। 

ক্যামেরা বর্তমানে সেলফি তোলার প্রতি মানুষের একটা ঝোঁক রয়েছে। আর তাই সামনের ক্যামেরাটা ভালো মানের হওয়া চাই। 

কম আলোতে যাতে ভালো ছবি তোলা যায় অর্থাৎ অ্যাপারচার কম কিনা তা দেখে নিন। ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ চলার জন্য বেশি মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি কিনতে হবে। নকশা স্মার্টফোন এখন ফ্যাশনেরও অনুষঙ্গ। 

তাই ভালো নকশার স্মার্টফোন একদিকে যেমন স্টাইলিশ, অন্যদিকে কাজেও বেশ। অনুষঙ্গ সব স্মার্টফোনের সঙ্গেই প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়।

 তবে অতিরিক্ত কিছু যেমন কার চার্জিং, ব্লুটুথ, হেডসেট ইত্যাদি প্রয়োজন হলে কেনার সুযোগ আছে কি না, তা দেখে নিতে পারেন।

 বিক্রয়োত্তর সেবা বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ বেশি হওয়াটা জরুরি। এতে দীর্ঘদিন আপনার ফোনের সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে। 

স্যামসাং স্মার্টফোনে ১ বছর, এমনকি ব্যাটারির জন্যও ১ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে স্মার্টফোনের যেকোনো অনুষঙ্গ,

 যেমন লেভেল ইউপ্রো ও গিয়ার ভিআরে থাকছে ৩ মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা। তবে যে নির্মাতার স্মার্টফোনই কেনেন, তা অনুমোদিত দোকান থেকে কেনা ভালো।

আরো পড়ুন= হারানো মোবাইল খুজে পাওয়ার উপায় 

মোবাইল রিকভারি সফটওয়্যার

অনেক সময় রম ফ্ল্যাশ করার পর আপনার ডিভাইসটি সরসরি রিকভারি মোডে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ আপনার ফোন সরাসরি রিকভারি মোডে অন হবে। 

এক্ষেত্রে আপনি উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী ডাটা ওয়াইপ করে দেখতে পারেন। তবে তাতে অনেক সময় সমস্যার সমাধান হয় না। সাধারনত ভুল রম ফ্ল্যাশ করার কারনে এই সমস্যা হয়ে থাকে। 

রিকভারি সমস্যার সমাধান কি?


১) প্রথমে আপনার যে রম টি ফ্ল্যাশ করবেন তার জিপ ফাইল টি আপনার ফোনের এসডি কার্ডে কপি করে নিন।

২) রিকভারি মোডে যান।

৩) রিকভারি মোড থেকে উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী ডাটা ওয়াইপ করে নিন।

৪)  এবার মেইন মেনু থেকে install zip from sd card >choose zip from sd card  সিলেক্ট করে যে জিপ ফাইল টি কপি করে রেখেছিলেন তা সিলেক্ট করে দিন।

৫) ফ্ল্যাশ হয়ে গেলে আপনার ডিভাইস টি রিবুট করুন।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি আপনার ডিভাইস এর জন্য যে কোন কাস্টম রম ফ্ল্যাশ দিতে পারবেন।


Banglastatusথেকে সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News)ফিডটি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url