বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম | নতুন পদ্ধতিতে | Bkash Account Open
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম: বাংলাদেশে একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবার রয়েছে এর মধ্যে বিকাশ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের প্রায় সকলেরই বিকাশ একাউন্ট রয়েছে এবং ডিজিটাল পেমেন্ট এর জন্য এটি অনেক সুবিধাজনক। বিকাশ বহুল পরিচিত ব্র্যাক ব্যাংক এর একটি অংশ এর মেইন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। নিজের ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার এন্ড্রোয়েড বা আইফোন এর অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। আজ আপনাদের দেখাবো সম্পূর্ণ নতুন (Bkash Account Open) বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম।
বিকাশ কি?
সহজ ভাষায় বললে বিকাশে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। বহুল পরিচিত ব্র্যাক ব্যাংকের কথা তো আমরা সবাই জানি, বিকাশ হচ্ছে ব্রাক ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত একটি সেবা। এই যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি 2011 সালে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধা
বর্তমানের এই আধুনিক যুগে বিকাশ একাউন্ট খোলার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। আপনি ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খুলে এর সকল সুবিধা গুলো উপভোগ করতে পারেন এবং আপনার লাইফ-কে আরো সহজ করে নিতে পারেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধা কোন নিচে উল্লেখ করা হলো:
টাকা জমা করা: বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং একটি ডিজিটাল ওয়ালেট এর মতো কাজ করে। আর এটি ব্যাংক বিহীন ডিজিটাল ক্যাশ সিস্টেম হওয়ার কারণে টাকা জমা করার প্রসেসিং-টি ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক সহজ।
টাকা সেন্ড: বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে মুহূর্তেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠানো যায়। বিকাশ সার্ভিসটি মোবাইল ব্যাংকিং হওয়ার কারণে ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে 24 ঘন্টার ভিতর যে কোন সময় অর্থাৎ যখন খুশি দিনের বা গভীর রাতে যখন খুশি ব্যবহারকারী টাকা পাঠাতে পারে।
টাকা ক্যাশ আউট: বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা তোলা খুব সহজ যেকোনো এজেন্টের কাছ থেকে আপনি টাকা তুলতে পারেন। আপনার আশেপাশে যদি কোন দোকানে বিকাশ এজেন্ট না থাকে তাহলে আপনি চাইলে ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারেন। যদিও এখন বাংলাদেশের শহর এবং গ্রাম গুলোর প্রায় সব জায়গাতেই বিকাশ এজেন্ট এর দোকান রয়েছে।
মোবাইল রিচার্জ: আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জানেন যে, বিকাশ একাউন্ট থেকে খুব সহজেই বাংলাদেশের সকল মোবাইল অপারেটরেই মোবাইল রিচার্জ করা যায়। এর থেকেও ভালো সুবিধার বিষয় হচ্ছে এতে কোনো চার্জ নেই অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণ ফ্রি সার্ভিস।
পে বিল: বিকাশের এই পে বিল ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই অনলাইন এবং অফলাইন থেকে কেনাকাটা করতে পারেন। শহরের শপিং মল এবং সুপারশপ গুলো ছাড়াও গ্রাম গঞ্জের অনেক দোকানে এখন বিকাশ থেকে পেমেন্ট সাপোর্ট করে। পে বিল এর মাধ্যমে আপনি সহজেই কোন পণ্য কেনার পরে সেটির বিল পরিশোধ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি এর মাধ্যমে অনলাইনে থেকেও বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, যানবাহনের টিকেট কেনা সহ আরো অনেক জায়গাতে পেমেন্ট এবং বিল পেইড করার সুবিধা তো রয়েছেই।
বিকাশ অফার: এখন প্রায় সারা বছরই বিকাশে ক্যাশব্যাক অফার, রিচার্জ অফার, এবং বোনাস সংক্রান্তঃ নানারকম ক্যাম্পেইন চলতেই থাকে। বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে টি মোবাইল রিচার্জ এবং বিভিন্ন রকমের পেমেন্ট করা থেকে ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকে।
বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড
বিকাশ এপস এর অ্যান্ড্রয়েড এবং IOS (আইফোন) দুটো ভার্শনই available রয়েছে। Android ব্যবহারকারীরা চাইলেই গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইন্সটল করতে পারেন। আর আইফোন ব্যবহারকারীরা Apple এর অফিশিয়াল App store থেকে ইন্সটল করতে পারেন।
অথবা আপনারা চাইলে বিকাশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস এর জন্য এর জন্য অ্যাপস ইনস্টল করে নিতে পারেন।
বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি লাগে
বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যেগুলো প্রয়োজন হবে:
- একটি সচল সিম কার্ড
- ইন্টারনেট সংযোগ (USSD ব্যবহার করে খুললে প্রয়োজন নেই)
- একটি স্মার্টফোন (USSD ব্যবহার করে খুলতে চাইলে দরকার হবে না)
- স্মার্ট কার্ড অথবা এনআইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয় পত্র)
- পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি (ঘরে বসে নিজে নিজেই খুললে প্রয়োজন নেই)
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
সত্যি বলতে বর্তমানে টেকনোলজি যতটা এগিয়ে তাতে আমার মনে হয় বিকাশ এজেন্ট-এর দোকানে গিয়ে একাউন্ট খোলার কোনো প্রয়োজন নেই। ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলা সবচেয়ে সহজ তাই, আমি আপনাকে অত্যন্ত সহজ পদ্ধতিতে একাউন্ট খোলার প্রসেস Step By Step দেখাব।
Step 1
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমেই আপনি বিকাশ অ্যাপ টি ওপেন করবেন। ওপেন করলে কিছু Permission চাইবে, পারমিশন গুলো Allow করে দেবেন।
এরপরে “লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করবেন।
Step 2
“লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। আপনি যে নাম্বার টি ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেটি নাম্বার বসানোর বক্সে দিয়ে ”পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করবেন।
Step 3
তারপরে আপনাকে মোবাইল অপারেটরের সিলেক্ট করার অপশন দেবে, আপনি যে অপারেটরের সিম ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেটি সিলেক্ট করে ”পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করবেন।
Step 4
এরপর একটি নতুন পেজ ওপেন হবে আপনার সিমে OTP পাঠাতে হবে তবে অবশ্যই যে নাম্বারটি ব্যবহার করে আপনি একাউন্ট ওপেন করতে চাচ্ছেন সেটিকে এই ডিভাইসের ভিতরে থাকতে হবে।
Step 3
আপনার সিমে মেসেজ এর মাধ্যমে আসা ওটিপি অটোমেটিক বিকাশ অ্যাপ থেকে রিসিভ করে নেবে আপনাকে আলাদাভাবে বসাতে হবে না।
Step 4
ওটিপি বসানোর করে অটোমেটিক কোডগুলো বসে গেলে “কনফার্ম করুন” অপশনে ক্লিক করবেন।
Step 5
এরপরে আপনার এনআইডি বা স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয় পত্র) এর উপরের পেইজের ছবি তুলে সাবমিট করতে হবে।
Step 6
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের উপরের পৃষ্ঠার ছবি আপলোড করা হলে নিচের পৃষ্ঠায় ছবি তুলে সাবমিট করবেন।
Step 7
এরপরের ধাপে যার এনআইডি কার্ড তার একটি সেলফি সাবমিট করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনি অন্য কারো এন আইডি ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খোলেন তাহলে যার এনআইডি কার্ড তার সেলফি সাবমিট করবেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে আর তেমন কোন Step ফলো করতে হবে না। বিকাশ অ্যাপসের সিকিউরিটি সিস্টেম উন্নত হওয়ায় একটিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর স্ক্রিনশট নেয়া যায় না এবং স্ক্রিন রেকর্ড সাপোর্ট করেনা।
তাই কিছু জায়গায় নির্দেশনা ছবি বা ভিডিও করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে স্টেপ গুলো খুবই সিম্পল আশা করি সবাই এগুলো করতে পারবেন।
আরো পড়ুন...
- লাই ফাই কি | এবং Li-fi কিভাবে কাজ করে
- কল ফরওয়ার্ড চালু এবং বন্ধ করার নিয়ম
- রবি নাম্বার দেখার কোড | Robi Number Check Code
- বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট কি?
সাধারণত বিকাশ এর প্রতিনিধিদের বিকাশ এজেন্ট বলা হয়ে থাকে। এরা স্থায়ীভাবে বিকাশের অনেকগুলো সেবা প্রদান করে। বিকাশ এজেন্ট এর সেবাগুলো (service) আপনারা ইলেকট্রিক্যাল অথবা টেকনোলজি সংক্রান্ত প্রায় সকল দোকানে পাবেন। এজেন্টের কাছ থেকে ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন এবং বিভিন্ন বিল পে করতে পারবেন। এজেন্টগনরা লেনদেনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট % হারে ইনকাম করে থাকে।
বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে?
বিকাশ এজেন্টের ইনকাম করতে চাইলে কিছু এর ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়।
- এজেন্ট মালিকের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পাসপোর্ট / ডাইভিং লাইসেন্স / এনআইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয় পত্র)
- একটি ট্রেড লাইসেন্স (বাধ্যতামূলক)
- একটি ঠিকানা এবং যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?
এজেন্ট হওয়ার জন্য বিকাশ থেকে নির্দিষ্ট কোন টাকার পরিমান উল্লেখ করেনি। সাধারণত দোকান এবং ট্রেড লাইসেন্স থাকলেই বিকাশ এজেন্ট হওয়া যায়।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশের এজেন্ট হতে চাইলে আপনারা উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা আপনার নিকটস্থ বিকাশের অফিসে যেতে পারেন।
তবে আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট অনলাইনের মাধ্যমে খোলার আবেদন করতে চান তাহলে এই লিঙ্কে ক্লিক করে ফর্মটি ফিলাপ করতে পারেন।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?
সাধারণত ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিকাশ পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এর চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যায় বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর ভিতরে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
বিকাশ মার্চেন্ট খোলার জন্য কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- একটি সচল সিম কার্ড এবং মোবাইল ফোন
- এনআইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয় পত্র) এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবি
- একটি ট্রেড লাইসেন্স (অবশ্যই ম্যাপ থাকতে হবে)
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
অনলাইন থেকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার আবেদন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করে বিকাশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। অথবা আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করুন বিকাশ ”মার্চেন্ট একাউন্ট” যেভাবে আপনার সুবিধা হয়।
এরপরে আপনার দেয়া নাম্বারে বিকাশ থেকে কল দিয়ে বিকাশ মার্চেন্ট অফিসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে আসতে বলবে। আপনার কাগজপত্র জমা দেয়ার পরে সেগুলো যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে নিকটস্থ বিকাশের অফিসে অথবা এজেন্টের কাছে যেতে হবে। মোবাইল দিয়ে নিজে নিজে ওপেন করা যায় না। আপনাকে এজেন্ট এর দোকান থেকে অথবা কাস্টমার কেয়ারের লোকেরা একাউন্ট খুলতে সাহায্য করবে।
একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে তারা আপনার বিকাশে একটি পিন সেট করে দেবে অথবা আপনি চাইলে নিজেও পিন সেট করতে পারেন। এজন্য বাটন মোবাইল থেকে “*247#” ডায়াল করবেন, তারপরে এরপর “Active menu pin” নামক একটি অপশন আসবে আপনি ”1” দিয়ে রিপ্লে করবেন।
এরপরে কয়েক সেকেন্ড লোডিং নিয়ে আরেকটি পেইজ ওপেন হবে সেখানে আপনাকে 5 সংখ্যার একটি পিন সেট করতে বলবে। আপনি পিন দিয়ে সেন্ড অপশনে ক্লিক করবেন, তাহলেই আপনার পিন সেট হয়ে যাবে। তবে আপনার কাছে কনফার্ম হওয়ার জন্য দুইবার পিন সেট করার অপশন আসতে পারে, আপনি দুইবারই একই পিন বসাবেন। তাহলে পিন সেট যাবে আর অবশ্যই আপনি পিন-টি মনে রাখবেন। ভুলে গেলে আপনাকে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হবে, সেটা অবশ্য আপনি বুঝতে পারছেন।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে আপনি কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে পারেন তাদের অফিসে গিয়ে সরাসরি কথা বলতে পারেন। তবে একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে করার মত তেমন কিছুই থাকেনা। কারণ যে নাম্বারে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় সেটিতে দ্বিতীয়বার অ্যাকাউন্ট ওপেন করার কোন সুযোগ দেয় না বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
বিকাশ একাউন্ট চেক
বিকাশ একাউন্ট চেক করার জন্য আপনি ফোনের ডায়াল প্যাড থেকে *247# ডায়াল করতে পারেন।
বিকাশ এর ব্যালেন্স চেক
ফোনের ডায়াল প্যাড থেকে *247# ডায়াল করে আপনি 7 নম্বরে থাকা “My bKash” বিকাশে প্রবেশ করতে পারেন এ জন্য আপনি “7” রিপ্লাই করুন। তবে বিকাশের বিভিন্ন ফিচার এড করা এবং রিমুভ করার কারণে এটির নাম্বার পরিবর্তন হতে পারে। আপনি এ জন্য “My bKash” লেখা অপশনটি দেখে রিপ্লাই করবেন।
এরপরে আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড চাইবে, password দিয়ে আবারো রিপ্লে করবেন এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার একাউন্টে টাকা ব্যালেন্স শো করবে।
আপনি যদি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন তাহলে এত ঝামেলা করতে হবে না আপনি বিকাশের ওপেন করবেন। অ্যাপস ওপেন করার পরে আপনার কাছে পাসওয়ার্ড চাইবে, আপনি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে উপরের দিকে দেখতে পারবেন ”ব্যালেন্স চেক” নামক একটি অপশন রয়েছে সেটির উপরে একটি ক্লিক করলেই আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার পরিমাণ আপনি দেখতে পাবেন।
বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয়
বিকাশ একাউন্ট লক হলে অবশ্যই যতো দ্রুত সম্ভব বিকাশের হেল্পলাইনে কল দিয়ে আপনার সমস্যাটি তাদের সাথে শেয়ার করবেন। অথবা অপনি চাইলে বিকাশের নিকটস্থ অফিসে গিয়ে তাদের মাধ্যমে এর সমাধান নিতে পারেন।
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন
বিকাশ এর নীতিমালা অনুযায়ী বিকাশ একাউন্টের নাম্বার এবং মালিকানা কোনটাই পরিবর্তন করা যায় না। তবে ভবিষ্যতে তাদের নীতিমালা পরিবর্তন হলে একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ হতে পারে, তবে আপাতত নাম্বার পরিবর্তন করা যায় না।
বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ
সাধারণত বিকাশের ক্যাশ আউট চার্জ ১.৭৫%। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ১৭.৫০ টাকা। আপনি যদি অ্যাপস ব্যবহার করে কোন এজেন্ট নাম্বার প্রিয় নাম্বারে এ্যাড করে ক্যাশ আউট করেন তাহলে তার আরো কম কাটবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ১.৪৯% হারে চার্জ কাটে অর্থাৎ হাজারে ১৪.৯০ টাকা চার্জ কাটে। তবে এটির একটি লিমিটেশন আছে, আপনি প্রতিমাসে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্নসমুহ
- কে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে?
উত্তর: 18 বছরের অধিক বয়সী যে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি কার্ড) ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে।
- বিকাশ একাউন্ট খুলতে কত টাকা খরচ হয়?
উত্তর: সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অর্থাৎ বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কোন টাকার প্রয়োজন হয় না, একদম ফ্রিতে একাউন্ট অপেন করা যায়।
- বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি ব্যাংক একাউন্ট লাগে?
উত্তর: “না” বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কোন প্রকার ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন নেই।
- বিকাশ এর পিন ভুলে গেলে কি করবো?
উত্তর: বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বেশিরভাগ মানুষই ভয় পায় এবং টেনসনে থাকে যে কিভাবে পিন রিসেট করবে। চিন্তার কোনো কারণেই বিকাশ এই সমস্যা সমাধানের জন্য পিন রিসেট নামক একটি ফিচার চালু করেছে।
এজন্য আপনি “*247#” ডায়াল করে ”9” দিয়ে রিপ্লাই করুন। এরপরে যে নির্দেশনা গুলো আসবে সেগুলো ফলো করতে পারেন। আপনি যদি বেশি ঝামেলা না চান তাহলে “16247” নাম্বারে কল দিয়ে বিকাশ সেবাদানকারীর কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে যার নামে বিকাশ একাউন্ট খোলা তাকে ফোনে কথা বলতে হবে এবং তার এনআইডি কার্ড থেকে কিছু তথ্য চাইবে সেগুলো দিতে হবে।
এছাড়াও ইমেইলের মাধ্যমে হেল্প নেওয়ার জন্য আপনারা support@bkash.com এ্ইটিতে ইমেইল করতে পারেন।
অথবা livechat.bkash.com থেকে কিছু সাহায্য নিতে পারে। সবথেকে ভালো হবে আপনি যদি আপনার নিকটস্থ বিকাশ এর অফিসে যেতে পারেন।
- বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোথায় যেতে হবে?
উত্তর: উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে যে কেউ চাইলেই ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে। এছাড়া আপনি চাইলে বিকাশের অফিসে গিয়েও বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন। অথবা একাউন্ট খোলার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য বিকাশ এর কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জিজ্ঞেস করতে পারেন।
- একটি NID দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে?
উত্তর: শুরুর দিকের একাধিক একাউন্ট অপেন করা গেলেও বর্তমানে একটি (NID) এনআইডি কার্ড দিয়ে মাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
- অ্যাপ ছাড়া কি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, অ্যাপস ছাড়াও বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় তবে এক্ষেত্রে আপনাকে নিকটস্থ এজেন্টের কাছে অথবা বিকাশ এর অফিসে যেতে হবে।
এতোটুকুই ছিলো আজকের বিকাশ সংক্রান্ত পোস্ট, এরপরেও যদি আপনাদের কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার আগ্রহের বিষয় এর উপরে আমি পোস্ট করব। সবাই ভালো থাকেন নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন, এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।